বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের রুহের মাগফিরাত কামনা করে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেছেন, দেশে বর্তমানে সৎ ও সজ্জন চরিত্রের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংকট চলছে। এই মুহূর্তে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মতো রাজনৈতিক নেতৃত্বের বড় প্রয়োজন ছিল।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে ফরিদপুর শহর বিএনপির উদ্যোগে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত হয়ে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সহধর্মিণী চৌধুরী শায়লা ইউসুফ ও জ্যেষ্ঠ কন্যা চৌধুরী নায়াব ইউসুফ পরিবারের পক্ষ থেকে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
তারা বলেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ সারাজীবন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। বিপদে-আপদে তাদের পাশে থেকেছেন। তার প্রতি কেউ যদি কোনো কারণে দুঃখ পেয়ে থাকেন তবে ক্ষমা করে দেবেন।
শহর বিএনপির সভাপতি রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এবিএম সাত্তার, বিএমএ ফরিদপুর শাখার সাবেক সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোদাররেস আলী ঈসা, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর সামসুল ইসলাম আল বরাটি, যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি মাহবুবুল হাসান ভুইয়া পিংকু, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ফরিদপুর-৩ (সদর) আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপি যে কয়বার সরকার গঠন করেছে ততবারই তিনি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৪০ সালের ২৩ মে তিনি ফরিদপুর জেলার সম্ভ্রান্ত বাঙালি জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ৯ ডিসেম্বর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাকে শহরের ময়েজমঞ্জিলে পিতা চৌধুরী ইউসুফ আলী চৌধুরী মোহন মিয়ার কবরের পাশে দাফন করা হয়।